https://www.somoyerdarpan.com/
2303
health
প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৩:০৬
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দুজনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আহত রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের অনেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের যথাযথ ও সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বগুড়ায় সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে, রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৫টার পরে বগুড়ার সেউজগাড়ি পালপাড়া এলাকা থেকে রথযাত্রা নিয়ে কয়েক হাজার পুণ্যার্থী বের হন। রথটি আমতলা সেউজগাড়ী মোড়ে স্টেশন রোডে ওঠার পর রথের মাস্তুলের সঙ্গে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সংযোগ ঘটে যায়। এতে মুহূর্তেই রথের সঙ্গে থাকা অসংখ্য পুণ্যার্থী বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন। এরমধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শহরের রাস্তার ওপরে থাকা বৈদ্যুতিক তারের অবস্থান অনুযায়ী ঠিক কত ফুট উচ্চতায় রথ ওঠানো যাবে, তা আয়োজকদের আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের সেই সতর্কতা সত্ত্বেও ২৫ ফুট উচ্চতায় রথের চূড়া ওঠানো হয়। রথের চূড়া ওঠানো-নামানোর দায়িত্বে থাকা লোকের ভুলেই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘ্টল।
তারপরেও দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং বিদ্যুৎ বিভাগ ও পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
এ ছাড়া নিহত ব্যক্তিদের লাশ সৎকারের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহায়তা দেওয়া হচ্ছে।