https://www.somoyerdarpan.com/

2487

international

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারির পর ফিলিপাইনে প্রথম এমপক্স রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট ২০২৪ ১৫:১৭

ফিলিপাইনে এ বছর প্রথমবারের মতো এমপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করেছে ফিলিপাইন। আক্রান্ত ব্যক্তি ৩৩ বছর বয়সী একজন পুরুষ। নিজ দেশের বাইরে তিনি কখনই ভ্রমণ করেননি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলবার্ট ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন, তারা রোগীর শরীরে এমপক্সের ভ্যারিয়েন্ট নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করছেন। গত সপ্তাহের বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক সতর্কতা জারির পর ফিলিপাইনে প্রথম এমপক্স রোগী শনাক্ত হল। সংস্থাটি তাদের সতর্কতা পত্রে জানিয়েছিল, আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে এমপক্স প্রাদুর্ভাবের ফলে আশপাশের দেশগুলোতে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

গত বৃহস্পতিবার সুইডেনে এমপক্সের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিল। যা আফ্রিকা থেকে ছড়িয়েছিল বলে ধারণা চিকিৎসকদের। কেননা শনাক্তকারী ব্যক্তি সম্প্রতি আফ্রিকাতে ভ্রমণ করেছিলেন। আফ্রিকায় ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের পর সুইডেনে প্রথম এই রোগটি শনাক্ত করা হয়।

এছাড়া শুক্রবার পাকিস্তানে উপসাগরীয় দেশে থেকে ফিরে আসা একজন রোগীর মধ্যে এমপক্স ভাইরাস শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। তবে তারা ভাইরাসটির ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। এ পর্যন্ত ফিলিপাইনে এমপক্সের দশটি কেস শনাক্ত করা হয়েছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো এমপক্স শনাক্ত করেছিল ফিলিপাইন। 

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমপক্সের আলামতগুলো হচ্ছে-

১) প্রথমে সপ্তাখানেক জ্বর থাকার পর রোগীর মুখমন্ডল, হাত, পিঠ এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে ফুঁসকুড়ি দেখা দেয়। এই রোগটি একটি ছোঁয়াচে রোগ।

২) কোনো ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হলে তার আশপাশের লোকজনও এই রোগে দ্রুত আক্রান্ত হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা এ বিষয়ে বেশ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

৩) সাধারণত শিশু, গর্ভবতী মা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।  এছাড়া এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরাও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে।