https://www.somoyerdarpan.com/

2774

sports

বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টেস্ট ম্যাচে ধারাভাষ্যকার তামিম

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৮

আন্তর্জাতিক ম্যাচে তামিম ইকবালকে ধারাভাষ্য দিতে আগেও দেখা গেছে। গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্যকক্ষে অভিষেক হয়েছে তামিমের। এবার দেশের বাইরেও ধারাভাষ্যকার তামিমের দেখা মিলেছে।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে যোগ দিয়েছেন তামিম। এবং ধারাভাষ্যের দায়িত্ব পালনের এক পর্যায়ে সাকিবকে নিচে ব্যাটিং করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিইয়েছেন। তবে ওয়ানডে ও টেস্ট নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানাননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান স্কোরার। নবনিযুক্ত বোর্ড সভাপতি তামিমকে আরও বেশ কয়েক বছর জাতীয় দলে বিশেষ করে টেস্টে দেখার আগ্রহের কথা জানালেও বাঁহাতি ওপেনার নিজের অবস্থান জানাননি।

এর মাঝেই পুরোদমে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তামিম। সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টসের বিশ্লেষণী অনুষ্ঠান করে পরে ধারাভাষ্য কক্ষেও যোগ দিয়েছেন।

হাসান মাহমুদের স্পেলে ভারত প্রথম ঘণ্টায় কেঁপে গিয়েছিল। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত পরে কিছুটা সামলে নেন যশস্বী জয়সোয়াল ও ঋষভ পন্তের জুটিতে। প্রথম সেশনের শেষ দিকে বল তুলে দেওয়া হয় মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে।

এই সময় সহ-ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে জানান, তাঁর চোখে গত কিছুদিনে সবচেয়ে উন্নতি করা ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দারুণ অবদান রাখা মিরাজ কদিন আগেই বলেছিলেন, বাংলাদেশ দলে সাকিবের ভূমিকা অর্থাৎ দুই ক্ষেত্রেই নির্ভরযোগ্য হতে চান তিনি।

সে প্রসঙ্গ টেনে ভোগলে তামিমের মত জানতে চান। তিনি জানতে চান, সাকিব যেটা বহুদিন ধরে করহেন, বোলিংয়ের পাশাপাশি শীর্ষ পাঁচে ব্যাটিংয়ের চাপ নেওয়া, সে কাজটা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত কিনা মিরাজ।

জবাবে তামিম একটু সময় নিয়ে তাঁর মত জানান। তামিম বলেছেন, মিরাজ এখন ব্যাট হাতে নিয়মিত রান পাচ্ছেন। পেস বলে স্বচ্ছন্দ, স্পিনও বেশ ভালো খেলেন। ওদিকে ব্যাট হাতে সাকিব ইদানীং ‘স্ট্রাগল’ করছেন, তাই সাকিবের জায়গায় ব্যাটিং অর্ডারে মিরাজকে নামিয়ে পরীক্ষা করার পক্ষে তিনি।

পরিসংখ্যানও বলছে, গত কিছুদিনে সাকিবের ব্যাট কথা বলছে না। গত এক বছরে টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান মিরাজের (৩৮০)। তাঁর ৪৭.৫০ গড়ের চেয়ে ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন শুধু মুশফিক (৫৬.৫০)। সবচেয়ে বেশি ফিফটিও (৪) মিরাজের।

ওদিকে ৪ টেস্টের ৫ ইনিংসে ৮৯ রানের বেশি করতে পারেননি সাকিব। সর্বোচ্চ ৩৬ রান, গড় ২২.২৫। পাকিস্তানের বিপক্ষেও ৩ ইনিংসে মাত্র ৩৮ রান করেছেন সাকিব। ফলে মিরাজকে উপরে তোলার চিন্তা করতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।