https://www.somoyerdarpan.com/
2945
sylhet
প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪২
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর এবং মধ্যনগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলী জমি, বসতবাড়ির। অনেক স্থানে সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গতকাল রোববার সকাল থেকে যাদুকাটা, রক্তি, পাটলাই নদী দিয়ে ভারতের পানি প্রবল বেগে ভাটির দিকে নামছে। সীমান্তের বিভিন্ন নদী ও ছড়া দিয়ে ভারত থেকে নেমে আসা পানি প্রবল বেগে নিম্নাঞ্চলের দিকে প্রবেশ করছে। সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের কৈয়ারকান্দা ১০০ মিটার সড়ক ও আনোয়ারপুর বাজারের সামনের সড়ক দিয়ে পানি হাওরে প্রবেশ করেছে। নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি, সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এছাড়াও রোপা আমনের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাহিরপুরে আসতে গিয়ে পর্যটকগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের সিএনজি অটোরিক্সা চালক মাসুক মিয়া জানান, পাহাড়ী ঢলের পানিতে ১০০ মিটার সড়ক উপচে পানি হাওরে প্রবেশ করেছে। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া জানান, পাহাড়ী ঢলের পানিতে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের কয়েকটি স্থানে পানিতে ডুবেছে। তবে যানবাহন চলাচল এখনও বন্ধ হয়নি। পানি আরও বাড়লে দুর্ভোগ বাড়বে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যার আশংকা নেই।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে মধ্যনগর উপজেলার ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে মহেষখলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রোপা-আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল ভোর থেকে হঠাৎ পাহাড়ী ঢলের পানি প্রবাহিত হয়ে মহেষখলা বাজারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
উত্তর বংশীকুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর নবী তালুকদার বলেন, গতকাল রোববার ভোর রাতে হঠাৎ পাহাড়ী ঢলের পানি বিপদসীমায় প্রবাহিত হয়ে মহেষখলা বাজারে কোমর পানি হয়েছে। তার সাথে প্রবল স্রোতে দোকান পাট ও আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মহেষখলা বাজার হোটেল ব্যবসায়ী মোঃ আমিরুল ইসলাম জানান, প্রয়োজনীয় মালামালসহ ইট,বালু, শুকরিসহ ভবন নির্মাণের সামগ্রী স্রোতের পানিতে ভেসে গেছে।
ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বৃষ্টি ও হঠাৎ পাহাড়ী ঢলে ১০০ হেক্টর রোপা-আমন জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।