https://www.somoyerdarpan.com/
3137
sylhet
প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:২৯
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী যুবক সোহান আহমদের (২৩)। সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে সোহানের বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। নিহত সোহান ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। হত্যাকাণ্ডের স্থান জগন্নাথপুর থানা এলাকায়।
আহতরা হলেন সোহানের চাচাতো দুই ভাই নুর আলমের ছেলে মোসাদ্দেক আলম (২৪) ও আবু সায়েদের ছেলে শহীদুল্লা (২৫)। আহতদের মধ্যে মোসাদ্দেকের অবস্থা সংকটাপন্ন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন সোহান আহমদ। এক সপ্তাহ আগে পাঞ্জারাই গ্রামে বিয়ে করেন সোহান। স্বপ্ন ছিল স্ত্রী সহকারে যাবেন স্বপ্নের দেশ যুক্তরাজ্যে। কিন্তু স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল সোহানের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নুরকাছ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে সোহানের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহানের ওপর হামলা চালায় তারা। বাঁচতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে সোহান। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইনাতগঞ্জ বাজারের গলিতে ফেলে প্রকাশ্যে নুরকাছ ও তার সহযোগীরা ধারালো ছুরি দিয়ে সোহানকে একাধিক জখম করা হয়। এ সময় সোহানকে বাঁচাতে মোসাদ্দেক ও শহীদুল্লা এগিয়ে এলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করা হয়।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও নিহত সোহানের চাচা মাসুদ আহমেদ জিহাদী জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সোহান ও মোসাদ্দেককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শহীদুল্লাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহানের মৃত্যু হয়।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন বলেন, নিহত সোহানের বাসার সামনে নুরকাছ ও তার এক সহযোগীর মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহান ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরকাছকে জানায় তার বাসার সামনে কোনো ধরনের ঝামেলা না করার জন্য, পাওনা টাকার আলাপ অন্যত্র গিয়ে করতে। এ ঘটনায় সোহানের ওপর ক্ষিপ্ত হয় নুরকাছ ও তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে সোহানের ওপর তারা একত্রিতভাবে হামলা চালায়। এতে সোহান প্রথমে গুরুতর আহত ও পরবর্তীতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।